
পাথর ব্যবসার সুবাধে সিলেটের বাইরে থাকেন তিনি। তার ব্যবসা দেখাশুনা ও একটি বাসার কেয়ারটেকার এর দায়িত্ব দেন জৈন্তাপুরের ১নং নিজপাট ইউনিয়নের পূর্ব গৌরীশংকর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ইসমাঈল আলীকে।
বিশ্বাসকে পুঁজি করে ইসমাঈল নিজের জন্য ৩ ট্রলি পাথর বাকিতে নেন এবং বাসার ভাড়া তুলেও তিনি মালিক রেজাউল করিমের কাছে দেন নি। এসবের পাওনা ১লাখ ৮হাজার ৩শ’ টাকা চাইতে গেলে ইসমাঈল ছলচতুরী শুরু করেন।
রোববার (১১ মে) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মো. রেজাউল করিম নিজের নিজের পরিবারের নিরাপত্তা ও হয়রানীর কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমার বিরুদ্ধাচারণে জড়িয়ে পড়েন ইসমাইল আলী। তিনি আরও লোকজনকে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। তার সঙ্গে যুক্ত হন এলাকার বশির উদ্দি, গণি মিয়া, আলাউদ্দিন, মাছুম, শহীদ মিয়া, নজরুল ইসলাম, আবুল কাশেম, সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে। আক্রোস মেটাতে ইসমাইল গংরা মসজিদের নাম ব্যবহার করে আমার মৌরসী স্বত্ব বাড়ি সংলগ্ন চারাবাগান দখল করে নিতে চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ভরাটকৃত ভূমিতে রূপন করা প্রায় সহস্রাধিক ফলজ ও বনজ চারা উঠিয়ে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ী খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, ইসমাইল শত্রুতা বশত: মসজিদ কমিটিকে লেলিয়ে দিয়েছে। এতো বছর পর এসে জ্বলছে, মসজিদের জায়গা আমার বাড়ি সংলগ্ন ভূমিতে রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকে প্রতিয়মান হয় আমার ভূমিতে মসজিদের কোনো জায়গা পাওনা নেই। সালিশে সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় ইসমাইল আলী গং সালিশকারীদের অকথ্য গালিগালাজ করে। তারা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, তোকে কে বাঁচাতে আসে, দেখবো। শুধু হুমকিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি সে। আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মসজিদের মোতয়ালি¬কে দিয়ে দরখাস্ত দেওয়ায় এবং সে নিজেও দরখাস্ত দেয়। আরেকটি দরখাস্ত দেওয়া হয় উপজেলা এসিল্যাণ্ড বরাবরে। যার তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি ইসমাইল। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রমাণ না থাকায় ওই মামলাটিও নথিজাত করেন বিচারক। এছাড়া আব্দুস সামাদসহ আরো অজ্ঞাত অনেককে ব্যবহার করে থানাসহ বিভিন্ন দফতরে মামলা ও অভিযোগ দাখিল করে হয়রানী ও আর্থিক, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী খন্দকার মো. রেজাউল করিম জানান, গত ৬ মে ভোররাতে মানুষের শোরগোলের শব্দে শুনে ঘুম থেকে উঠি। তখন আমার নাম ধরে ইসমাইলসহ অন্তত অর্ধশত লোকজনসহ অন্যরা বলতে থাকে, তোর চারা এসে নিয়ে যা’। তারা গাছের চারা ও বাঁশ ও নেটের ভেঙে নিয়ে যায়। তারা নিজেদের দখল দেখাতে একটি টিনের ছাপড়া ঘর তৈরী করে নিজস্ব মানুষ রেখে যায়। ইসমাইল গংরা তখন বাড়ির আশপাশে অবস্থান করছিল।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমি পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয় এবং ঘর তৈরী থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানায় এবং আমাদের জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করে। পুলিশও ঘর থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেয়। পরে ওইদিন সকাল ৯টার দিকে আবারো আক্রমন করার চেষ্টা করলে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে ইসমাইল গংরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ব্যবসায়ী খন্দকার মো. রেজাউল করিম নিজের জানমাল রক্ষা ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।